ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিকে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ৩১-০৮-২০২৩ ০৮:০১:০৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩১-০৮-২০২৩ ০৮:০১:০৪ অপরাহ্ন
পিকে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফাইল ছবি :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের আলোচিত অর্থ কেলেঙ্কারির হোতা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার তথ্য ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাদের কাছে।

অভিযোগ আছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস পরিদর্শন বাবদ পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পেতেন তারা। তাই বছরে দুইবার পরিদর্শন করেও, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে এরিমধ্যে মিলেছে ঋণের নামে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস ফাইনান্স ও পিপলস লিজিং এই তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা লোপাট করতে কমপক্ষে ৪০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোপাটের তথ্যও।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক ছিলেন ছিলেন পি কে হাওলাদারের অন্যতম সহযোগী। দুদকের হাতে গ্রেপ্তারের পর এখন তিনি কারাগারে আছেন।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রাশেদুল জানান, ২০১৫ সালে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগ দেয়ার পর জানতে পারেন পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কিনে নিয়েছে। শেয়ারের মালিক হয়েও পিকে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডে ছিলেন না।

সহ সভাপতি ছিলেন পিকে হালদারের সহযোগী নাহিদা রুনাই। পিকের নির্দেশে নাহিদা রুনাই, আল মামুনসহ অন্যদের সহযোগিতায় পিকে তার নিজের কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ পাশ করিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন।

জবানবন্দীতে উঠে আসে, জেনিথ ও লিপরো ইন্টারন্যশনালের নামে দুটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই এক দফায় ১২৫ কোটি টাকা ও আরেক দফায়ে আরও ২০০ কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা।

জবানবন্দিতে রাশেদুল জানান, পিকে হালদারের ক্ষমতার উৎস ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর। জানা যায়, এস কে সুর নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে ২১টি  ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করতেন। সেগুনবাগিচায় কেনেন কোটি টাকার ফ্লাট।

রাশেদুলের জবানবন্দিতে উঠে আসে, বছরে দু’বার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং পরিদর্শনে আসতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। প্রতিবার পরিদর্শনে তাদের দেয়া হতো পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা। যে কারণে প্রতি বছর পরিদর্শনের পরও প্রতিষ্ঠানটির কোনো অনিয়ম পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছেন, পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতের তদন্ত এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে কমিশন।

দুদক বলছে, ঋণের টাকা আত্মসাৎই নয়, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ করিয়ে কমিশন বাবদও ২২৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির হোতা পিকে হালদার।সি-৭১
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ